৪০ শতাংশ পানি ঘাটতির হুমকিতে বিশ্ব
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/21/photo-1426931953.jpg)
পানির অপব্যবহার বন্ধ না হলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বিশ্বে ৪০ শতাংশ পানির ঘাটতি দেখা দেবে। বিশ্ব পানি দিবসের দুদিন আগে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনেএই সতর্কবার্তা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির মজুদ কমে আসছে। এদিকে বিশ্বের জনসংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ৯০০ কোটি জনসংখ্যা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কৃষিকাজ, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য আরো বেশি পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানির প্রয়োজন পড়বে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ৫৫ শতাংশ পানির চাহিদা বাড়বে। কিন্তু পানির মজুদ কমে যাচ্ছে। যদি জরুরিভিত্তিতে পানি ব্যবহারে নাটকীয় পরিবর্তন না হয়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব তার চাহিদার মাত্র ৬০ শতাংশ পানি পাবে।চাহিদা অনুযায়ীসরবরাহনা হলে বিশ্বে মারাত্মক পানির সংকট দেখা দেবে। পানির সদ্ব্যবহারই ভবিষ্যতে এই ঘাটতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রতিবেদনে নীতিনির্ধারকগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি পানি নীতিমালা নিয়ে পুনরায় বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের মতো বর্জ্য মিশ্রিত পানি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার প্রক্রিয়া স্থাপনের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এপির খবরে বলা হয়, অনেক রাষ্ট্রেরই উচিত পানির দাম বিবেচনায় রাখা এবং পানি পরিশোধন প্রক্রিয়া আরো কার্যকর ও পানির দূষণ কমানোর পথ খোঁজা। ভারতসহ অনেক দেশেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে পানি ব্যবহার এবংঅপব্যবহার হচ্ছে।এখানে পানি দূষণের ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়না এবং দূষণের সঙ্গে জড়িতদেরও কোনো শাস্তি দেওয়া হয়না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।