ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধে তাজিকিস্তানে গণভোট
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে তাজিকিস্তানে গণভোট হচ্ছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার এই ভোট হওয়ার কথা। ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিষিদ্ধ হলে তাজিকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনের ক্ষমতাই বাড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিবিসি জানায়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে স্বাধীনতা পাওয়া তাজিকিস্তানের অধিকাংশ জনগণই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। গত বছর দেশটিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাজিক প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নয়। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি দেশটির ক্ষমতায় আছেন।
১৯৯৭ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের পর সরকার ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আজকের গণভোটে ধর্মীয় দলগুলো থাকা না-থাকার প্রশ্নের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার সময় নিয়েও মতামত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়স কমানোর বিষয়েও জনগণ ভোট দেবেন।
বিবিসি জানায়, গণভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার বিষয়েও জানতে চাওয়া হবে। বয়স কমানোর বিষয়টি গণভোটে উতরে গেলে আগামী ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের ছেলে রুস্তম (২৯) অংশ নিতে পারবেন।
জানা গেছে, তাজিকিস্তানের গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘আপনি সংবিধান সংশোধন ও সংযোজন সমর্থন করেন কি না?’ এই প্রশ্নে তাজিক জনগণ হ্যাঁ বা না ভোট দেবেন। এর ভিত্তিতেই তাজিকিস্তানের সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
বিবিসি জানায়, মধ্য এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ তাজিকিস্তান অনেক ক্ষেত্রেই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। দেশটির অনেক নাগরিক রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে কাজ করে। বিদেশি শ্রমিকদের পাঠানো অর্থেই দেশটির অর্ধেক জিডিপি অর্জিত হয়।