তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারকে সমর্থন জানালেন বিশ্বনেতারা
তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে দেশটির সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সামরিক জোট ন্যাটো এবং অপর বিশ্বনেতারা তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির এই আহ্বানের কথা বলা হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারবার্তায় জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে এবং জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তুরস্কের প্রতিবেশ দেশ গ্রিসের পুলিশ এবং অপর নিরাপত্তা বাহিনী সরকারের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে যে কোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তুরস্কের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটিতে অবস্থানরত রুশদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রুশ সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি প্রেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরকে তুরস্কের অবস্থার হালগানাদ খবর জানানো হচ্ছে। প্রেসকভ আরো বলেন, তুরস্কে দ্রুত স্থিতিশীলতা আশা করে রাশিয়া।
তুরস্কের ঘটনাপ্রবাহের দিকে গভীর নজর রাখছেন যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তুরস্ক পরিস্থিতির পরপরই দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। দেশটিতে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি-বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি এক টুইটারবার্তায় তুরস্কের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি আংকারায় ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখার কথা বলেন।
পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র ফরাহ হক বলেন, মহাসচিব বান কি-মুন তুরস্কের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, তুরস্ক ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তুরস্কের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় বলেন, তুরস্কের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং তুরস্কের জনগণের নিরাপত্তার বিষয়কেই প্রধান হিসেবে দেখছে ইরান।