রিপাবলিকান সম্মেলন ঘিরে ক্লিভল্যান্ডে বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলন ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে। এ বিক্ষোভ মূলত রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে। ট্রাম্পবিরোধীরা ক্লিভল্যান্ড শহরে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছেন। আবার তাঁর সমর্থকরাও প্রচার চালাচ্ছেন। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শহরের পুলিশ।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার থেকে ক্লিভল্যান্ড শহরে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুইকেন লোনস অ্যারেনায় ১৮ থেকে ২১ জুলাই চার দিনব্যাপী চলা এ সম্মেলনের জন্য জড়ো হয়েছেন সারা দেশের রিপাবলিকান নেতারা। এ সম্মেলনেই নির্ধারিত হবে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী।
গতকাল সোমবার ক্লিভল্যান্ডের রাস্তায় চোখে পড়ে সম্মেলনে অংশ নিতে আসা সদস্যদের। নিরাপত্তার কড়াকড়ির বিষয়টিও ছিল লক্ষণীয়। এরই মধ্যে একদলকে দেখা যায় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’, ‘মুসলিম লাইফস ম্যাটার’সহ বিভিন্ন লেখাসংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা সম্মেলনস্থলের আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করছে। ওই দলের পেছনে আরেকটি দল। তবে ক্যামেরা ও কার্যক্রম দেখে তাঁদের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি বলে চিহ্নিত করা যায়।
সম্মেলনের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদেরও চোখে পড়ে। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’সহ ট্রাম্পের বিভিন্ন কথাসংবলিত ব্যানার নিয়ে তাদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রিপাবলিকান সম্মেলন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা নিয়েছে ক্লিভল্যান্ডের পুলিশ বিভাগ। শহরটিতে নিবন্ধিত অস্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় সশস্ত্র পুলিশ দেখা যায়।
এবার রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলন ক্লিভল্যান্ডে অনুষ্ঠান হওয়া নিয়ে অনেক স্থানীয় অধিবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন। সর্বশেষ ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামা বিপুল ভোট পান, ১৯৬৪ সালের পর থেকে কোনো ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর জন্য যা ছিল সর্বোচ্চ।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, প্রথম দিনের সম্মেলনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অনেকে এ জন্য রিপাবলিকান শীর্ষ নেতৃত্বকেও দোষারোপ করেন। এ ছাড়া রিপাবলিকান সম্মেলনে আগত প্রতিনিধির মধ্যে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিভেদও ছিল লক্ষণীয়। প্রথম দিনের অধিবেশনে বক্তৃতা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া।