সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাশিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে পুনঃস্থাপনের অংশ হিসেবে রাশিয়া সফর করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, গত ১৫ জুলাই তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর এটাই এরদোয়ানের প্রথম বিদেশ সফর।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হওয়ার কথা।
গত বছর নভেম্বরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাকালে সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুরস্ক। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ঘটনায় তুরস্ক ক্ষমা না চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় রাশিয়া। পরে তুরস্কের ওপর দেশটির পক্ষ থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে তুরস্ক ভ্রমণের বিভিন্ন প্যাকেজও নিষিদ্ধ হয় রাশিয়ায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় কার্যক্রম চালানো তুরস্কের অনেক অবকাঠামো প্রকল্প এবং দেশটির নাগরিকদের রাশিয়ায় কাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, তুরস্ক ক্ষমা না চাইলে কখনোই নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না।
অবশ্য গত জুন মাসের শেষদিকে রাশিয়া দাবি করে, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় তুরস্ক দুঃখ প্রকাশ করেছে। ওই সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিমান ভূপাতিত করার ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কথা বলেছেন এরদোয়ান।
রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রচেষ্টার খবরটি এমন সময়ে এলো যখন সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পরবর্তী পদক্ষেপ ও ধরপাকড় নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে তুরস্ক।
সেন্ট পিটার্সবুর্গের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার পূর্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করে এরদোয়ান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন পাতা খুলতে চান তিনি।
আর রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাসকে এরদোয়ান বলেন, তাঁর রাশিয়া সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হবে। আর এই সম্পর্কের শুরু হবে শূন্য থেকে।