পণ্য বর্জন, ভারতকে সতর্ক করল চীন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/28/photo-1477617720.jpg)
সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। আর এর প্রভাব পড়েছে চীনের পণ্যের ওপরে! ভারতে রব উঠেছে চীনা পণ্য বর্জনের। আর এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে একদল ভারতীয়।
সপ্তাহজুড়ে চলতে থাকা ‘চীনা পণ্য বর্জন কর আন্দোলন’ পর্যবেক্ষণ করেছে চীন। অবশেষে মুখ খুলেছে দেশটি। সতর্ক করে দিয়েছে ভারতকে। চীন বলছে, ভারতে এ ধরনের কার্যক্রমে হুমকির মুখে পড়বে দুই দেশের বাণিজ্য। একই সঙ্গে চীনের যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়, তারাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চীনা পণ্য বর্জনের আদৌ কোনো ঘোষণা আসেনি। কেবলই কিছু মানুষ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিষয়টি ছড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক অবনতি এর অন্যতম কারণ। চীন পরিষ্কারভাবে পাকিস্তানের বন্ধু। তা বিভিন্নভাবেই প্রকাশ পাচ্ছে। চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বের ইতিহাসও দীর্ঘ। আর পাকিস্তান-বিদ্বেষের রংই গিয়ে মিলেছে চীন সাগরে। ক্ষোভ যায় চীনা পণ্যের ওপর দিয়েও।
দিল্লির চীন দূতাবাসের মুখপাত্র জি লিয়েন জানান, বিষয়টি নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। এ রকম পরিস্থিতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে তো এর প্রভাব পড়বেই, বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়, সে ক্ষেত্রেও বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জি লিয়েন জানান, ভারত ও চীন উভয় দেশের মানুষই এ নেতিবাচক প্রভাব চায় না।
জি লিয়েন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ আহ্বান করছেন। অবকাঠামো খাতে চীনের বিনিয়োগ চেয়েছে ভারত।
এ মুহূর্তে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের। ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৭১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়।
তবে সামাজিক মাধ্যমে চীনা পণ্য বর্জনের আন্দোলন কতটুকু সফল হয়েছে, তা বোঝা না গেলেও চীনা স্মার্টফোন কেনা যে ভারতীয়রা বন্ধ করেনি, তার প্রমাণ মিলেছে। দেশটিতে দীপাবলি উৎসব চলছে। আর ওই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে চীনের তৈরি স্মার্টফোন!