ভোটের দিন হিলারির প্যান্ট-স্যুট পরবেন সবাই!

হিলারি ক্লিনটনের সমর্থকদের কাছে ৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিনের চেয়েও বেশি কিছু। তাঁরা দিনটিকে প্যান্ট-স্যুট দিবস হিসেবে বিবেচনা করছেন। সেদিন হিলারির মতো করে পোশাক পরবেন।
ফেসবুকে একটি গ্রুপ চালু হয়েছে প্যান্ট-স্যুট নেশন নামে। নির্বাচনের হিলারির স্টাইল সবাই অনুসরণ করবেন বলে পরিকল্পনা করছেন। সপ্তাহে দুয়েক হলো প্রাইভেট গ্রুপ থেকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর প্যান্ট-স্যুট নেশন নামে একটি পাবলিক গ্রুপ চালু হয়। যদিও গ্রুপটি হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সঙ্গীতশিল্পী বিয়োন্সও প্যান্ট-স্যুট জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে হিলারির নির্বাচনী সমাবেশে কালো ফোঁটাঅলা প্যান্ট-স্যুট পরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিনি।
যেহেতু ট্রাম্প সমর্থকরা লাল পোশাক পরার পরিকল্পনা করছেন, প্যান্ট-স্যুট পরে হিলারির সঙ্গে সংহতি জানানো যাবে সূক্ষ্মভাবে। কারণ ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারণার সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা পরা নিষিদ্ধ। ফেসবুক গ্রুপটির কাছে এটা ফ্যাশনের চাইতে বেশি কিছু।
প্যান্ট-স্যুট নেশন গ্রুপের সদস্যরা দোদুলমান অঙ্গরাজ্য, রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য বা ডেমোক্র্যাটিক প্রভাবিত অঙ্গরাজ্যের। তবে দেশের প্রথম নারী প্রার্থীর প্রতি সমান অনুভূতি, অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে ভালোবাসা জানিয়েছেন তাঁরা।
অনেক পোস্টই করেন নারীরা, কিছু পুরুষও মন্তব্য করেন—যারা ট্রাম্পকে সমর্থনকারী বন্ধু, পরিবার, প্রতিবেশী থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা ফেসবুকে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, আর সেই কারণে এ গ্রুপ চালু করেছেন।
গ্রুপে একজন লিখেছেন, ‘এই গ্রুপটি আমাকে খুব খুশি করেছে। ভালো লাগছে যে অনেক মানুষই বিশ্বটা বদলে দিতে চাই। ভালো লাগছে যে আমার মতো অনেকেই হিলারির সমর্থক আছেন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার নিউজ ফিডে যেসব পোস্ট আছে, এটা আমাকে আশাবাদী ও সাহসী করেছে।’
মেইন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা লিব্বি চেম্বাইলেইন শেষ প্রেসিডেন্টশিয়াল বিতর্কের পর গ্রুপটি চালু করেন। তাঁর মতে, লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্যান্ট-স্যুট নেশন। তিনি বলেন, ‘আমরা কথা বলেছি কত সুন্দরভাবে ও আনন্দের সঙ্গে হিলারি নারীদের সমঅধিকারের লড়াইয়ে আছেন এবং কীভাবে প্যান্ট-স্যুট সংগ্রামের একটা প্রতীক হলো।’