যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন। ইতিহাসের সবচেয়ে বিদ্বেষপূর্ণ এ নির্বাচনে এরই মধ্যে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট কোস্ট অঞ্চলের আওতাভুক্ত অঙ্গরাজ্যগুলোয় এরই মধ্যে গ্রিনিচ সময় ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নিউ হ্যাম্পশায়ারের জনগণ এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন।
শেষমুহূর্তের প্রচারণায় ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরকে তুলোধুনা করেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতের শেষ দিক থেকেই ফলাফল পাওয়া শুরু হবে।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছেন নর্থ ক্যরোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান। সাধারণত এসব জায়গা জয়-পরাজয় নির্ধারক ভূমিকা পালন করে থাকে।
হিলারি ক্লিনটন একটি আশাবাদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বড় হৃদয়ের আমেরিকাকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সামনে দুর্নীতির ব্যবস্থাকে পরাভূত করার দুর্দান্ত সুযোগ এসেছে।
সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি।
এরই মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান- চার কোটি ৬০ লাখের বেশি—তাঁদের ভোট দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বা ডাকযোগে তাঁরা ভোট দিয়েছেন।
এবার হিস্পানিক ভোটাররা হিলারির পক্ষে বেশি ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী সর্বশেষ সমাবেশ যোগ দিয়েছেন। মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে ট্রাম্প ও নর্থ ক্যারোলাইনার র্যালেই শহরে হিলারি মধ্যরাতে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমেরিকান শ্রমিক শ্রেণি শেষ পর্যন্ত পাল্টা জবাব দেবে।’ এর আগে নিউ হ্যাম্পশায়ারে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে আমরা আমেরিকাকে সম্পদশালী বানাব, শক্তিশালী করব, নিরাপদ করব এবং আমেরিকাকে আমরা আবার মহান করব।’
এদিকে, পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় সমাবেশে হিলারির সঙ্গে যোগ দেন তাঁর স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
এর আগে একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, তিনি জয় পেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন দেবেন এবং তিনি আশা করেন ট্রাম্প দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবেন।
ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে এ পর্যন্ত যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজকে সরাসরি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন দেশটির জনগণ। এদের মধ্যে অন্তত ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ যার পক্ষে যাবে তিনিই নিরঙ্কুশভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।