জনতার বিক্ষোভে ট্রাম্পের ক্ষোভ!
এবারের ৫৮তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারের অ্যাকাউন্ট। রাজনীতি, সমাজনীতি থেকে যৌনতা- হেন বিষয় নেই যা নিয়ে টুইটারে লিখে বিতর্ক তৈরি করেননি ট্রাম্প।
কিন্তু ৮ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের দুদিন আগে ট্রাম্পের কাছ থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ একরকম ছিনিয়েই নিয়েছিলেন তাঁর সহযোগীরা। এর কারণ না জানালেও এই অ্যাকাউন্টের ‘নিয়ন্ত্রণ হারানোর’ বিষয়টি প্রায় ফলাও করে প্রচার করেছিলেন তিনি।
কিন্তু নির্বাচনের দুদিন পরে এসে নিজের টুইটারের নিয়ন্ত্রণ আবার নিজের দায়িত্বে নিয়েছেন ট্রাম্প। অবশ্য এই খবরটি আর ফলাও করে প্রচার করা লাগেনি। ‘টাম্পচিত’ এক টুইটে বিষয়টি জানা গেছে এমনিতেই। বৃহস্পতিবারের পোস্টগুলো নিয়ে হাফিংটন পোস্ট আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে ট্রাম্পের সর্বশেষ দুটি টুইট প্রকাশ করেছে হাফিংটন পোস্ট। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করার ১০ মিনিট পর প্রথম টুইটটি করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি একটি ফলপ্রসূ মিটিং ও দুজনের মধ্যে ‘অসাধারণ রসায়নের’ কথা উল্লেখ করেন।
কিছুক্ষণ পর আবারও একটি টুইট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচির সমালোচনা করেন।
টুইটে তিনি বিক্ষোভের জন্য সংবাদমাধ্যম ও ‘পেশাদার বিক্ষোভকারীদের’ দায়ী করেন। এবং তাঁর সমালোচনাকারীরা ‘খুবই অন্যায্য’ কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
এর এক ঘণ্টা পর তিনি প্রায় উল্টো একটি টুইট করেন। ওই টুইটকে একটি গোলকধাঁধা হিসেবে বর্ণনা করেছে হাফিংটন পোস্ট। যাতে তিনি বিপুলসংখ্যক প্রতিবাদকারীর আবেগের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।