ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শেষ হওয়ার আগে কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। গতকাল শুক্রবার (২ জুন) তিনি একথা বলেন। খবর এএফপির।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন পশ্চিমা সামরিক জোটকে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলার জন্য প্রায় ৭৫ বছর আগে জোটটি গঠন করা হয়। কিন্তু এই সামরিক জোটের সদস্যরা ইউক্রেন প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোটটির সকল সদস্য দেশ ২০০৮ সালের একটি অঙ্গিকার মেনে চলতে সম্মত হয় যে, ইউক্রেন কোন অনির্ধারিত সময়ে সদস্যপদ পাবে।
জেলেনস্কি এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালার কারিসের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং আমরা বুঝতে পারি যে আমরা একক কোনো ন্যাটো দেশকে যুদ্ধে টেনে আনতে যাচ্ছি না।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘অতএব, আমরা উপলব্ধি করেছি যে এই যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা ন্যাটোর সদস্য হব না। আমরা এটি চাই না বলে নয়, বরং তা অসম্ভব বলেই।’
ইউক্রেন ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়টিতে যোগদানের প্রার্থী হলেও কতিপয় ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার আগ্রাস অব্যাহত থাকায় কিয়েভের ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একটি অনির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
ন্যাটোতে যোগদানের অর্থ ইউক্রেন এ সামরিক জোটের আর্টিকেল পাঁচ সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ধারার আওতায় পড়বে। আর এই ধারা অনুযায়ী ন্যাটোর কোন সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে দেশটি রক্ষায় সহায়তা করতে বাধ্য অন্য সদস্য দেশগুলো।