মায়ামিতে বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র : কিয়েভ কর্মকর্তা
ইউক্রেনীয় আলোচক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মায়ামিতে বৈঠকে বসবেন। কিয়েভের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপদেষ্টা ওলেকসান্ডার বেভজ এই উন্মত্ত কূটনীতির পর এএফপিকে বলেন, আজ আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডায় দুই পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে সেই বৈঠকটি হয়েছে কিনা, তা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেননি।
ওয়াশিংটনের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম খসড়ায় দেখা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া জয় করতে পারেনি এমন কিছু ভূমিও আত্মসমর্পণ করবে, যার বিনিময়ে কিয়েভকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়া নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
পরে ইউক্রেন, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনার একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মস্কোতে এক বৈঠকে রাশিয়া এর কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের শীর্ষ সহযোগী ইউরি উশাকভ মঙ্গলবার গভীর রাতে মস্কোর বৈঠকটিকে সৌহার্দ্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন। বসন্তকাল থেকে চলমান আলোচনায় ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের যোগদানেরও প্রশংসা করেন তিনি।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে উশাকভ বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ও উইটকফ একটি সত্যিকারের বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথন করেছেন ও তাঁরা একে অপরকে পুরোপুরি বোঝেন। তিনি কুশনার সম্পর্কে বলেন, একজন নতুন ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, আমি বলব যে তিনি খুবই কার্যকর হয়ে উঠেছেন।
জেলেনস্কির আরেক উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্দার আড়ালে ঘটে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় ও আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র একটি বাস্তববাদী প্রক্রিয়া ও যুদ্ধের দ্রুত অবসান চায়, উভয় পক্ষের কাছ থেকে আপস আশা করে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক