বিদ্রোহের পর পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন
গত মাসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ও ভাড়াটে বেসরকারি বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। তবে, সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে বেলারুশে চলে গেছে মার্সেনারি গ্রুপটির সদস্যরা। এই ব্যর্থ বিদ্রোহের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গ্রুপটির প্রধান প্রিগোঝিন। মস্কোতেই হয়েছে এই সাক্ষাৎ। আজ সোমবার (১০ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, গত ২৯ জুন প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ভাড়াটে গোষ্ঠীটি রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে পতনের চেষ্টার কয়েকদিন পর এমনটি ঘটে।
গত ২৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ওয়াগনার গ্রুপ। রাশিয়ার রোস্তভ শহরের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা। ঘোষণা দেয় মস্কো অভিমুখে যাওয়ার। এরপর জোরদার করা হয় মস্কোর নিরাপত্তা। তবে, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় থামে গ্রুপটি। বেলারুশে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে রাজি হন প্রিগোঝিন।
ব্যর্থ বিদ্রোহের বিষয়টি নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ২৪ জুনের ঘটনা সম্পর্কে তার মূল্যায়ন দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ওয়াগনার গ্রুপের কথাগুলোও শুনেছেন।’
প্রতিবেদনে এএফপি আরও জানিয়েছে, ব্যর্থ বিদ্রোহের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনও ওয়াগনার গ্রুপের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী, মার্সেনারি গ্রুপটির প্রধান ও কিছু যোদ্ধা বেলারুশে নির্বাসিত হবেন। তবে, এখনও রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে চায় ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা। এমনকি, রুশ বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করতে চায় তারা।
মস্কোতে হওয়া ওয়াগনার প্রধানের সঙ্গে ক্রেমলিনের সাক্ষাৎটি সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো দীর্ঘস্থায়ী ছিল। এ সময় ওয়াগনার যোদ্ধাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলেন পুতিন।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন পুতিন। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, পুতিনের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহ ছিল এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পেসকভ বলেন, ‘ওয়াগনার যোদ্ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের কট্টর সমর্থক বলে সাক্ষাৎকারে বুঝাতে চেয়েছেন। মাতৃভূমিকে রক্ষার্থে তারা লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে তা জানিয়েছে।’
ব্যর্থ বিদ্রোহের পর সবার ধারণা ছিল, বেলারুশে রয়েছেন প্রিগোঝিন। তবে, গত বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, প্রিগোঝিন বা তার কোনো যোদ্ধা আমার দেশে নেই।’