ইতালিতে ‘খাঁচা যুদ্ধে’ মুখোমুখি হবেন ইলন-জাকারবার্গ
টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক ও ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গের বাগবিতণ্ডা নতুন নয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই ধনকুবেরের তর্ক যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই তর্ক যুদ্ধ গিয়ে ঠেকছে ‘কেজ ফাইট’ বা ‘খাঁজা যুদ্ধে’। খোদ ইলন মাস্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) স্পেস এক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে তার খাঁচা যুদ্ধ ইতালিতে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। মূলত এই খাঁচা যুদ্ধটির অর্থ যাবে দাতব্য সংস্থায়। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খাঁচা যুদ্ধের তথ্য নিশ্চিত করেনি প্রযুক্তি খাতের এই দুই জায়ান্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স যার পুরনো নাম টুইটার, তাতে ইলন মাস্ক বলেছেন, খাঁচা যুদ্ধের আয়োজন এগুচ্ছে।
এক পোস্টে ইলন লেখেন, ‘আমি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মহাকাব্যিক জায়গাটি নিয়ে একমত পোষণ করেছেন।’
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইতালির সংস্কৃতিমন্ত্রী জেনারো সানগিউলিয়ানো। তিনি জানিয়েছেন, ইতিহাসকে তুলে ধরে কীভাবে একটি চ্যারিটি ইভেন্ট করা যায় সে বিষয়ে দুজনের কথা হয়েছে। তবে, খাঁচা যুদ্ধ রাজধানী রোমে হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে তিনি।
প্রযুক্তি খাতের এই দুই জায়ান্টের যুদ্ধ যেন ইউনেস্কোর কোনো একটি হেরিটেজ সাইটে হয়, সে বিষয়টি গত জুনে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান ইলন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে জেনারো সানগিউলিয়ানো বলেন, ‘ইভেন্টের মাধ্যমে ইলন বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। এমনকি, কয়েক লাখ ইউরো (ইউরোপের মুদ্রা) তিনি সংগ্রহ করতে পারবেন। এই অর্থ ইতালির দুটি প্রসিদ্ধ শিশু হাসপাতালে দান করবেন তিনি।’
ইতালির সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই খাঁচা যুদ্ধ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ইতিহাস, প্রত্নতাত্ত্বিক, শৈল্পিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে পারব।’
ইলন বলেছেন, ‘ইতালির অতীত এবং বর্তমানকে সম্মান করেই সবকিছু করা হবে। এবং যা আয় হবে তা দাতব্য সংস্থায় যাবে।’ এই খাঁচা যুদ্ধের আয়োজন তার পরিচালিত দাতব্য সংস্থা থেকে করা হবে বলেও জানান এই ধনকুবের।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, গত ৬ জুলাই ‘থ্রেডস’ অ্যাপ চালু করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রযুক্তি বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দেওয়া অ্যাপটিতে এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হন। এরপরেই এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিযোগী হয়ে পড়েন।