কানাডায় দাবানল : ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে জরুরি অবস্থা
ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে পশ্চিম কেলোনা শহরের আশপাশের এলাকায় আরও বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রিমিয়ার ডেভিড ইবি সতর্ক করে বলেন, ‘পরিস্থিতি দ্রুত বেড়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে আমাদের অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।’
ম্যাকডুগাল ক্রিক এলাকার দাবানল ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ থেকে ছয় হাজার ৮০০ হেক্টরে ছড়িয়েছে। প্রায় চার হাজার ৮০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পৃথক বিশাল দাবানলে কারণে কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কানাডার নর্থ ওয়েস্ট টেরিটরির রাজধানী ইয়েলোনাইফ শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হওয়া দাবানল থেকে বাঁচার জন্য বাসিন্দারা আকাশ ও সড়কপথে পালানোর চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘এই বছর, আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ মৌসুমের মুখোমুখি হচ্ছি। এই দ্রুত চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রাদেশিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।’
প্রিমিয়ার বলেন, ‘আমরা মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ করছি। আরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যদি লোকেরা অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর নির্দেশনাগুলো না মানেন, তাহলে জরুরি আদেশ নির্দিষ্ট এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।’
এর আগে, পশ্চিম কেলোনা শহরের ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জেসন ব্রোলান্ড দাবানলকে ‘বিধ্বংসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকদের রক্ষা করার জন্য গত রাতে কঠোর লড়াই করেছি।’
ট্রেডার্স কোভসহ পশ্চিম কেলোনার উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে ‘অবকাঠামোগত উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে, এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।