রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও দুটি টহল জাহাজে আক্রমণের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় স্থাপিত অত্যাধুনিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে টহল দেওয়া রাশিয়ার দুটি জাহাজেও আক্রমণের কথা জানিয়েছে তারা। সামরিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের সরঞ্জামের ক্ষতিকে ‘কৌশলগত ব্যর্থতা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর একদিন পরে বৃহস্পতিবার এই হামলার খবর জানিয়েছে কিয়েভ। তাদের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাশিয়ার একটি সাবমেরিন ও বিমান অবতরণকারী একটি জাহাজ। ক্রিমিয়ার বন্দর সেবাস্তাপোলে এসব নৌযান মেরামত চলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে ‘বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, সকালের হামলায় নিশ্চিতভাবে কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমালে দুটি রাশিয়ান টহল জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ কিয়েভের সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আন্দ্রি ইউসভ রয়টার্সকে বলেন, ‘সের্গেই কোটভ জাহাজ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’ এ ছাড়া ইউক্রেন সরকারের একজন মন্ত্রী অনলাইনে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যাতে দেখা যায়, সমুদ্রে থাকা একটি জাহাজে ড্রোন আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
সের্গেই কোটভ জাহাজে আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার সময় পাঁচটি সামুদ্রিক ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। তবে, এতে ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, ক্রিমিয়ায় হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে পশ্চিম ক্রিমিয়ার ইয়েভপাট্রোরিয়াতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে রাশিয়ার দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে তার রাতের ভাষণে ক্রিমিয়ার হামলাকে ‘বিশেষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘ক্রিমিয়াতে দখলদারদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংস– আজকের বিজয়ের জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। এটি একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অর্জন। ওয়েল ডান! ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস ও নৌবাহিনীর পুরো কর্মীদের এর জন্য বিশেষভাবে প্রশংসা করা উচিত।’
ইউক্রেনের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে ক্রিমিয়ায় হামলা চালানো হয়েছে। ড্রোনগুলো প্রথমে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডার ও অ্যান্টেনায় আক্রমণ করে সেগুলোকে অক্ষম করেছিল। পরে, দুটি নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার লঞ্চারগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।