সদস্যপদ নিয়ে ইউক্রেন-মলদোভার সঙ্গে আলোচনায় যাচ্ছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ প্রদানে ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটির নেতারা। এ ছাড়া জর্জিয়াকে সদস্যপদ প্রার্থীর মর্যাদা প্রদানেও সম্মত হয়েছে ইইউ।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেলের মুখপাত্র জানান, সদস্যপদ ও প্রার্থিতার প্রশ্নে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
হাঙ্গেরি শুরু থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করেনি। আগে থেকে নির্ধারিত ও গঠনমূলকভাবে এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান সম্মেলনের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় বাকি ২৬টি দেশের নেতারা ভোট প্রদানের কাজ শুরু করেন।
পরে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ভিক্টর অরবান বলেন, ‘ইউক্রেনকে ইইউয়ের সদস্যপদ প্রদান করা একটি খারাপ সিদ্ধান্ত। হাঙ্গেরি এই খারাপ সিদ্ধান্তে অংশ নিতে চায় না। আর সে কারণেই সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের অবস্থান।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলসে নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা তার দেশ ও ইউরোপের জন্য একটি বিজয়।
উৎফুল্ল জেলেনস্কি ইইউয়ের ঘোষণার পর সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘এটা ইউক্রেনের জন্য একটি বিজয়। এটা সমগ্র ইউরোপের জন্য একটি বিজয়। এই বিজয় আমাদের উৎসাহিত করবে এবং শক্তি জোগাবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেন ও মলদোভা ইইউয়ের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। এরপর গত জুনে দেশ দুটিকে প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়। ওই সময় জর্জিয়ার প্রস্তাবটিকে পাশ কাটানো হয়।
এদিকে, মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু বলেন, ইউক্রেনের পাশাপাশি তার দেশকে ইইউয়ের সঙ্গী করে নেওয়ার বিষয়টিতে তিনি সম্মানীত বোধ করছেন।
এক বার্তায় মাইয়া সান্দু বলেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আজ আমরা এই অবস্থায় এসে দাঁড়াতে পারতাম না।’
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইইউর এই ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা ইউক্রেন ও মলদোভার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই সিদ্ধান্তের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে দেশ দুটির আরও কয়েক বছর লেগে যেতে পারে এবং বৃহস্পতিবারের এই সিদ্ধান্ত তাদের সদস্যপদের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না।