বাইডেনের সতর্কবার্তার পর হুতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে নতুন হামলা শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এই হামলা শুরু করেছে তারা। আজ শুক্রবারও যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের প্রাথমিক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরে মার্কিন বাহিনী হুতিদের বিরুদ্ধে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা হুতি অবস্থানে হামলা চালিয়ে যাবে।
আজ হামলার বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সর্বশেষ হামলা হুতিদের দুটি এন্ট্রি শিপ মিসাইল স্থাপনায় আঘাত করেছে। হুতিরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ব্যস্ত শিপিং করিডোরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশী জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা হামলাগুলো এখনও আন্তর্জাতিক শিপিংয়ে হুথিদের আক্রমণ প্রতিরোধে সফল হয়নি।
হুতিদের ওপর হামলা কাজ করছে কি না, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা বলছেন—হুতিদের থামানো যাচ্ছে কি না? না থামানো যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র হামালা চালিয়ে যাবে কি না? হ্যাঁ, হামলা চলবে।’
বাইডেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কয়েক মিনিট পর হোয়াইট হাউস সর্বশেষ হামলার ঘোষণা দেয়।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজ সকালে আমরা আবারও হামলা চালিয়েছি, কয়েকটি এন্ট্রি শিপ মিসাইল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্রের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ ছিল যে, এ গুলো দক্ষিণ লোহিত সাগরে আসন্ন হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ইয়েমেনের হুতিনিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য ‘আসন্ন হুমকি’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন বাহিনী পরবর্তীতে আত্মরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আঘাত করে ধ্বংস করে।’
মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলার পরও হুতিরা আন্তর্জাতিক শিপিংকে আঘাত করে চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন মালিকানাধীন বাল্ক কার্গো ক্যারিয়ারে আঘাত করেছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘আমরা অবশ্যই চাই না যে এই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ুক।’ জন কিরবি বলেছেন, ‘আমরা হুতিদের সঙ্গে সংঘাত খুঁজছি না, আমরা এই অঞ্চলে সংঘাত খুঁজছি না’। ‘কিন্তু আমাদের নিজেদের আত্মরক্ষায় কাজ করতে সক্ষম হতে হবে। শুধু আমাদের জাহাজ এবং আমাদের নাবিকদের জন্য নয়, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য।’