আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ৮
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির তালেবান সরকার। আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের সাত সেনার মৃত্যু হয় গত শনিবার (১৬ মার্চ)। এর প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় পাক বিমান বাহিনী।
তালেবান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের বিমান হামলায় তিন শিশু ও পাঁচজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) ভোর ৩টার সময় পাকিস্তান সীমান্তের কাছে দুটি জায়গায় বিমান হামলা হয়।
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানি তালেবানের গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করা হয়েছিল। তাদের কাছে গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে এই আক্রমণ করা হয়।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবানের সম্পর্ক আছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র এই বিমান হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এটা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। তিনি বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়া ভালো হবে না।
একটি পৃথক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে।
এপি পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের গুলিতে চারজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। বাকি গ্রামবাসীকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর সীমান্তে যে গুলি চলেছে, পাকিস্তান তার জবাবও দিয়েছে।
গত শনিবার পাকিস্তান সেনার ওপর আত্মঘাতী হামলা হয়। তাতে সাতজন সেনা মারা যান। তাদের শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, এই আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। শহিদ সেনার রক্ত ব্যর্থ হবে না।
শনিবারের আত্মঘাতী হামলার দাবি করেছে জৈশ-ই-মুহাম্মদ গোষ্ঠী। পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের দাবি, এটা মূলত নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপির শাখা সংগঠন।