ইইউ ভোটে অতি-ডানপন্থিদের উত্থান, ফ্রান্সে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে অতি-ডানপন্থিদের উত্থান ফ্রান্সের রাজনীতিতে প্রচণ্ড নাড়া দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বেশ বড় ঝুঁকি নিয়ে ফ্রান্সে আগাম আইনসভা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এএফপির।
যদিও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মূলধারার মধ্য-ডানপন্থিরা সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে কিন্তু ইউরোপের এই ব্লকটি জুড়ে অতি-ডানপন্থিদের বেশ ভালোভাবে জয়ের একটি ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তারা ফ্রান্স, ইতালি ও অস্ট্রিয়ায় প্রথম অবস্থানে আছে। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ‘আমরা চরম বাম ও ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’ তার ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির (ইপিপি) নির্বাচনে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
ইউরোপের ২৭টি দেশ জুড়ে ৩৬ কোটিরও বেশি ভোটার আইনসভার ৭২০ জন সদস্য নির্বাচিত করার জন্য এই নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। এই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে ইপিপির প্রার্থী ভন ডার লিয়েন লড়ছেন। আগামী ২৭-২৮ জুন শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে ১৭ জুনের আগে ইউরোপীয় নেতাদের বেছে নিতে হবে তাকে অথবা অন্য কোনো প্রার্থীকে।
এদিকে ফ্রান্সে ম্যারি লি পেনের নেতৃত্বাধীন অতি-ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি পার্টির (আরএন) বিজয়ের পরপরই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী ৩০ জুন আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিক শুরুর এক মাস আগে নির্বাচনের এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কিছুই হয়নি এমন আচরণ আমি করতে পারি না। এখন ফ্রান্সের নাগরিকরা তার নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরাটা বেছে নিতে পারবে।’
বুথ ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে আরএন পার্টি ৩১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি রেনেসাঁ পার্টি ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।