যুক্তরাজ্যে নির্বাচন বৃহস্পতিবার, কে আসছেন ক্ষমতায়?
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/07/03/yuktraajy-nirbaacn-thaamb.jpg)
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণার তুঙ্গে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় দুটি রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি। গত ১০ বছর থেকে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে আশার আলো দেখছে লেবার পার্টি। ভোট পূর্ববর্তী জরিপে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ মানুষ এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাজ্য থেকে শ্রম অসন্তোষ দূর করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯০০ সালে লেবার পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। লেবার পার্টির জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ বর্তমানে দলটির প্রেসিডেন্ট কায়ার স্টারমার এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সব প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কনজারভেটিভ পার্টি ‘টোরি’ নামেও সবার কাছে সুপরিচিত। দলটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ঋষি সুনাক এই নির্বাচনে সব জরিপকে ভুল প্রমাণিত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী যে-ই হোক না কেন, তার সামনে ডুবে যাওয়া অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার কাজটিই প্রাধান্য পেতে যাচ্ছে। খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, আবাসন ও অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলা তার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বৈষম্য কমানো ও খরচ হ্রাস করার বিষয়গুলো নতুন প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো থেকে শুরু করে সম্প্রতি অর্থনীতির যেসব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাজ্য, তা মোকাবিলা করা বেশ দুষ্কর হিসেবে দেখছেন অনেকে। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে আরও ভঙ্গুর করে ফেলেছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/07/03/yuktraajy-inaar.jpg)
যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স তাদের সাম্প্রতিক জরিপে তুলে ধরেছে, দেশটির জনগণ খাদ্যপণ্য কিনতে তিন বছর আগে যে খরচ করত, এখন সেগুলো কিনতে প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করছে।
যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি কমলেও আগের বছরগুলোর তুলনায় দেশটির অধিবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। জীবনযাত্রার মান নিয়ে জনসাধারণের মাঝে দিন দিন অসন্তোষ বেড়ে যাচ্ছে। এতে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, জনগণ কনজারভেটিভ দলের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, যা লেবার পার্টির জয়কে সহজ করে তুলতে পারে।