গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা উপত্যকায় গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিস ও রাফা শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে। একটি জরুরি ত্রাণবাহী বহরকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালালে ১০ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যায়। খবর আলজাজিরার।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানায়, খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতাল এখন ইসরায়েলের হামলার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজায় অবস্থান করা বেসামরিক নাগরিকদের গণবাস্তুচ্যুতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সেখানকার মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি ও হতাশাজনক পরিস্থিতির অবশ্যই অবসান হওয়া উচিত।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলজাজিরা আরবিকে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় ২৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার কাতারে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা চললেও গাজায় বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরও দু’পক্ষের মাঝে ফাটল রয়ে গেছে। তিনি আশ্বাস দেন আগামী সপ্তাহে আবারও আলোচনা শুরু হবে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তানের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংঘাত। এরপর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন আহত হয়েছে।