অস্থিরতার পর যুক্তরাজ্যজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী সমাবেশ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/08/08/yuktraajy_brnnbaadii_haamlaa_thaamb.jpg)
যুক্তরাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা অতি ডানপন্থিদের সহিংস তৎপরতার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বর্ণবাদ বিরোধী লোক রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এসব ঘটনায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। খবর এএফপির।
গত ২৯ জুলাই তিন শিশু হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে রাত্রিকালীন দাঙ্গা। এতে মসজিদ ও অভিবাসীদের বিভিন্ন স্থাপনা একের পর এক আক্রান্ত হয়।
তবে গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যাবেলায় বর্ণবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী হাজারো শান্তিপ্রিয় জনতা রাস্তায় নেমে এসে এসব অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানায়। রাজধানী লন্ডন ছাড়াও বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, লিভারপুল, নিউক্যাসলসহ বেশকিছু ছোট-বড় শহরে সাম্যের লক্ষ্যে সমাবেশ করে দেশটির নাগরিকেরা।
উত্তরপূর্ব লন্ডনের এক সমাবেশে প্রতিবাদকারীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, ‘কাদের রাস্তা? এটা আমাদের রাস্তা’। এ সময় অনেক ব্যানারে লেখা ছিল, ‘অতি ডানপন্থিদের থামাও।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী সারা ট্রেসেলিয়ান বলেন, ‘আমি ওয়ালথামস্টো পৌরসভায় বাস করি এবং আমরা এসব লোকজনকে রাস্তায় দেখতে চাই না। তারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এই বার্তা নিয়ে… আমি মনে করি বন্ধু ও প্রতিবেশীদের নিয়ে তা দেখানো উচিত।’
এ বিষয়ে অ্যান্ডি ভ্যালেন্টাইন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রদর্শনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বার্মিংহামে শত শত বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদকারী অভিবাসীদের একটি সহায়তা কেন্দ্রের বাইরে সমবেত হয়। এ ছাড়া ব্রাইটনে প্রায় দুই হাজার লোক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেয়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/08/08/yuktraajy_brnnbaadii_haamlaa.jpg)
যুক্তরাজ্য সরকার প্রায় ছয় হাজার বিশেষ পুলিশ সদস্যকে অতিডানপন্থিদের তৎপরতার মুখে বর্ণবাদ বিরোধী সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রাখে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েট কুপার বলেন, ‘স্থানীয় কমিউনিটিকে রক্ষা ও সমর্থনের জন্য কাজ করছে সব পুলিশ কর্মকর্তা।’