যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা, মস্কোর হুঁশিয়ারি
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (এটিএসিএমএস) দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলাটি ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে।
ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি সামরিক স্থাপনার ওপর নিক্ষেপ করা ছয়টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেন যা রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এদিকে, ইউক্রেনের এই হামলা ‘পশ্চিমা যুদ্ধের নতুন পর্যায়" বলে গণ্য করছে রাশিয়া। মস্কো এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এই সপ্তাহে ওয়াশিংটন জানিয়েছে যে, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিসটেম বা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা ছিল ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের দাবি। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে, ইউক্রেন ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি স্থাপনায় এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা রুশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভোর তিনটা ২৫ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময়) শত্রুরা ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি স্থাপনায় ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। নিশ্চয়তাপ্রদান তথ্য বলছে, এটি আমেরিকার নির্মিত এইটএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।’
সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার বিমান হামলা, নিহত ১২
সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে সোভিয়েত যুগের একটি আবাসিক ভবনকে লক্ষ্য করে রাশিয়া বিমান হামলা চালায়। এতে ফলে অন্তত ১২ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে একটি শিশুও ছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আরও সমর্থন চেয়েছেন, যাতে রাশিয়াকে শান্তির দিকে ঠেলে দেওয়া যায়।
রাশিয়ার পরমাণু নীতি শক্তিশালী করা
পুতিনের স্বাক্ষরিত নতুন ডিক্রি অনুযায়ী, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে যদি কোনো দেশ ব্যাপক আক্রমণ করে, এমনকি যদি তা কনভেনশনাল অস্ত্র দিয়েও হয়। রুশ সরকার বলছে, এটি বর্তমান পরিস্থিতির সাথে তাদের নীতির সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
পশ্চিমা হুমকি এবং ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তা
ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে সতর্ক করেছেন যে, পুতিন যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিজয়ী হন, তবে তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে উঠবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরালে বলেছেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণ করতে দেওয়া উচিত, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ।
এদিকে, ইউএস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি ইউক্রেনকে সহায়তা কমিয়ে এনে যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করবেন। তবে, তিনি এর জন্য কোন স্পষ্ট পরিকল্পনা দেননি।