ক্ষমতার শেষ লগ্নে আফ্রিকা সফরে বাইডেন, কিন্তু কেন?
আফ্রিকায় মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও চীনের প্রভাব প্রতিহত করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফ্রিকা সফরের মাধ্যমে তার দুই বছরের পুরনো প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে যাচ্ছেন। তিন দিনের সফরে রোববার রাতে তিনি এঙ্গোলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাইডেনের এই সফরটি তার প্রশাসনের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
বাইডেনের এঙ্গোলা সফর আফ্রিকায় মার্কিন উদ্যোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি ২০১৫ সালের পর আফ্রিকায় কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর এটি। এই সফরে তিনি মার্কিন-ইউরোপীয় সমর্থনে নির্মিত লোবিতো করিডোর প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেবেন, যা আফ্রিকার অভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ হিসেবে কাজ করবে।
চীন আফ্রিকায় এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, বিশেষত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের মাধ্যমে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসন আফ্রিকায় চীনের প্রভাব কমাতে মার্কিন বিনিয়োগকে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চায়।
মার্কিন আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান মার্চ মাসে কংগ্রেসকে সতর্ক করে বলেছিলেন, রাশিয়া আক্রমণাত্মকভাবে আফ্রিকান দেশগুলোতে তার উপস্থিতি বাড়ানোর কাজ করছে এবং সেগুলো রাশিয়ার প্রভাবের অধীনে চলে যেতে পারে। জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাইডেনের সফরের পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বলেছেন, বাইডেন ‘আমাদের আবার মাঠে ফিরিয়ে এনেছেন’ এবং চীনের বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবে মার্কিন-সমর্থিত বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন অঞ্চলটির দেশগুলোর সামনে যে বিকল্পটি রয়েছে, তা হলো, আমি কি চীনের নিম্নমানের বিনিয়োগ, শিশু শ্রম ও দুর্নীতি মেনে নিতে বাধ্য হব, নাকি আমি এর সঙ্গে তুলনা করার জন্য আরেকটি প্রস্তাব পাব?
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন চেয়েছেন, আমাদের অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ককে গাঢ় করা, আরেকটি ভিন্ন, আরও উন্নত বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক