ইউক্রেন ও প্রতিরক্ষা ইস্যু এড়িয়ে ইউরোপের কড়া সমালোচনা ভ্যান্সের
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/15/vance.jpg)
এ বছরের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। একটি হলো রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার না করে কীভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করা যায় এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতে কীভাবে ব্যয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু সম্মেলনে অংশ নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিনিধি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঞ্চে তার ভার ভাষণে এ দুটি বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি। খবর বিবিসির।
উল্টো জেডি ভ্যান্স শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তার ভাষণে ব্রিটেনসহ ওয়াশিংটনের মিত্রদের প্রতি তীব্র আক্রমণ করে সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের হতবাক করে দেন। ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং বাক্স্বাধীনতার অধিকারের ইস্যুতে ইউরোপের দেশগুলোর ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। তার ভাষণের ২০ মিনিট ছিল খুবই অদ্ভুত এবং এর বেশিরভাগ সময়ই হলে নীরবতা বিরাজ করছিল।
ইউরোপীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে মূল্যবোধ থেকে পিছু হটা এবং অভিবাসন ও বাক্স্বাধীনতার বিষয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উপেক্ষা করার অভিযোগ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স। তবে তার ভাষণ খুবই বাজেভাবে সমালোচিত হয়েছে।
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, তাদের মধ্যে ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ, তবে শেষ নয়। আমি নিশ্চিত।’
বৈঠকে ইউক্রেনীয় নেতা ওয়াশিংটন ও কিয়েভের আরও বেশি আলচনা করা এবং পুতিনকে থামিয়ে যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা তৈরির জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই শান্তি চাই। কিন্তু আমাদের প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শান্তি চান, তবে সেটা তার ভাষায় শান্তি। যদি গোপনে কোনো পরিবর্তন না আনা হয়, তাহলে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দাবির কাছে আত্মসমর্পণ এবং মস্কোর কাছে স্থায়ীভাবে ভূখণ্ড হস্তান্তর।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/15/vance_inar.jpg)
কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়া আক্রমণ শুরুর আগে ইউক্রেনের ভূখণ্ড যেমন ছিল, সেখানে ফিরিয়ে আনা ‘বাস্তবসম্মত নয়’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের আশাও ভেঙে দিয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। পরে আবার রাশিয়া আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিলে ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষায় সহায়তার জন্য মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার মিউনিখে সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের একটি উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে ইউক্রেনের যুদ্ধের ওপর আলোকপাত করার কথা রয়েছে। মিউনিখে ইউরোপীয় নেতা এবং তাদের প্রতিনিধিদলের আশঙ্কা হলো--ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি নিশ্চিতে তাড়াহুড়োর ফলে পুতিন বিজয়ী ও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন এবং ইউরোপের আরও ভূমি দখলের পরিকল্পনা করবেন।