যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইয়েমেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিমান হামলায় ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, হুথিরা যদি ইসরায়েলের জাহাজগুলোর ওপর হামলার হুমকি তুলে না নেয়, তবে তাদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয়বারের মতো ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীর ওপর হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই হামলায় ড্রোন, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় এবং এতে ‘শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। রোববারও হুথিরা একই রকম হামলার দাবি করেছিল, যা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী ১১টি হুথি ড্রোন ভূপাতিত করেছে, তবে কোনো ড্রোন রণতরীর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। একই সঙ্গে তারা একটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে, যা ইয়েমেনের উপকূলে পড়েছে।

অন্যদিকে, গাজার ওপর ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধ চলমান রয়েছে। সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় ৬২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতির মধ্যেই কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ১২ হাজার ত২ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো মানুষের হিসাব যোগ করলে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যাবে।