আইপিএল জয়ের ১৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিজয় উদযাপন পরিণত হয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

আজ বুধবার (৪ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আয়োজিত আরসিবি দলের সম্মাননা অনুষ্ঠানের জন্য এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে বিশাল জনতা জমায়েত হওয়ার পর বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ আহত এবং অজ্ঞান ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় উদযাপন দেখতে আসা বহু মানুষ পদদলিত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, যা ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে। স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বেঙ্গালুরু মেট্রো স্টেশনগুলোতেও ট্রেনের ভেতর থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সিঁড়ি দিয়ে বের হতে দেখা গেছে।

কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার এই পরিস্থিতিকে ‘নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য দুঃখিত। আমরা পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী নিযুক্ত করেছিলাম। এটি তরুণদের প্রাণবন্ত ভিড়, আমরা তাদের উপর লাঠিচার্জ করতে পারি না।’

শিবকুমার সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমিও হাসপাতালে যাব। তবে আমি ডাক্তারদের বিরক্ত করতে চাই না, তারা রোগীদের যত্ন নিচ্ছেন। মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা এখন বলা যাবে না। আমরা জনগণকে শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা প্রোগ্রাম সংক্ষিপ্ত করেছি; এটি ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে... লাখ লাখ মানুষ এসেছিলেন।’

এর আগে নিরাপত্তা কারণ দেখিয়ে বিধান সৌধ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিজয় শোভাযাত্রা বাতিল করেছিল কর্ণাটক সরকার।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার রাত থেকে উদযাপনকারী জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সারা রাত ধরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিযুক্ত ছিল বলে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে।

সরকারিভাবে আরসিবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও বিধান সৌধ প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক ভিড় জমেছিল। আজ বেঙ্গালুরুতে আরসিবি দল অবতরণের পর শিবকুমার তাদের স্বাগত জানান। তিনি প্রতিটি খেলোয়াড়কে ফুলের তোড়া উপহার দেন। একইসঙ্গে বিরাট কোহলিকে আরসিবি দলের পতাকা ও কন্নড় পতাকা উভয়ই উপহার দেন।