ট্রাম্পের ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ আদেশ আটকে দিল আদালত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের একটি বড় আদেশ আটকে দিয়েছে মার্কিন আদালত। গত বুধবার (২৩ জুলাই) আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’ হতে পারে। তাই, মামলার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।
নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিল ২-১ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নিম্ন আদালতের রায়কে সমর্থন করেছে। এর ফলে, ২৭ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকা এই আদেশের বিরুদ্ধে জারি করা দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকল।
কেন এই আইনি লড়াই?
ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন রাজ্যগুলো এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের জনসংখ্যা কমে যাবে, যার ফলস্বরূপ ফেডারেল তহবিল প্রাপ্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকরা তাদের রায়ে বলেন, জেলা আদালত সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাহী আদেশের প্রস্তাবিত ব্যাখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অনেক ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে, তা অসাংবিধানিক। আমরা এই মতামতের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত।
আলাদাভাবে একজন ফেডারেল বিচারকও এই আদেশের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, যা দেশের সমস্ত নবজাতক ও অ-নাগরিক পিতামাতাদের প্রভাবিত করতো।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর নাগরিকত্ব ধারার ব্যাখ্যা নতুন করে নির্ধারণ করা। এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অনিবন্ধিত বা অস্থায়ী অভিবাসীদের সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করতে চেয়েছিলেন।
তবে, দীর্ঘদিনের আইনি নজির ও সাংবিধানিক সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন আদালত ট্রাম্পের এই আদেশকে বারবার আটকে দিয়েছে, যা তার এই বিতর্কিত পরিকল্পনায় বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে।