ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, ভিন্ন পথে জার্মানি-ইতালি

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এই পদক্ষেপকে একটি ‘প্রয়োজনীয়তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, সবার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার সূচনা করবে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের পর ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভিন্ন পথে জার্মানি ও ইতালি
যুক্তরাজ্যের মতো ফ্রান্সও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও জি৭-এর স্থায়ী সদস্য, ফলে এর কূটনৈতিক গুরুত্ব অনেক। তবে প্যারিসে জি৭-এর অন্য দুই বড় ইউরোপীয় রাষ্ট্র জার্মানি ও ইতালি এই পদক্ষেপ নেবে না।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল ব্যাখ্যা করে বলেছেন, জার্মানির জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসে একটি শান্তি প্রক্রিয়ার একেবারে শেষে। ইতালির সরকারও মনে করে যে অস্তিত্বহীন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া ‘প্রতিকূল’ হতে পারে।
ইসরায়েল ও ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা
ইসরায়েলস ফ্রান্সের এই পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ বলেছেন, স্বীকৃতি কেবল ‘অন্ধকারের শক্তিগুলোকে’ সাহসী করবে।
ফ্রান্সের অভ্যন্তরেও ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছে। অতি-ডানপন্থি নেতা জর্ডান বারডেলা এটিকে একটি ‘ভুল’ ও হামাসের ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর নৃশংসতার প্রতি ‘পুরস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন।
গণবিক্ষোভ ও ম্যাক্রোঁর শান্তি পরিকল্পনা
এই ঘোষণার আগে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছিল। ফ্রান্সের অনেক টাউন হলেও ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানো হয়। অন্যদিকে, ইতালিতেও ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভ হয়েছে, যা গণপরিবহণ ও বন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটিয়েছে।

সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ একটি পর্যায়ক্রমিক শান্তি পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি, দ্বিতীয় পর্যায়ে গাজার শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠন এবং তৃতীয় প্যাকেজে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান থাকবে।