বাংলা একাডেমিতে বর্ষবরণ উদযাপিত

বাংলা একাডেমিতে রবীন্দ্রচত্বরে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ, একক বক্তৃতা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গতকাল শনিবার। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। নববর্ষের বক্তৃতা প্রদান করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন। সভাপতিত্ব করেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক।
বক্তারা বলেন, ‘নববর্ষের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-মানবিক চেতনা ধারণের মাধ্যমে আমরা প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধশালী জাতিরাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। নববর্ষের মানবমুখী চেতনাই পারে সব ধরনের মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে।’ তাঁরা বলেন, বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালির বৃহত্তর জাতীয় উৎসবের নাম। সাম্প্রতিক সময়ে নববর্ষের অন্যতম ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে বাংলা নববর্ষ উৎসবেরও আন্তর্জাতিকীকরণ ঘটেছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বর্ষবরণ সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক কৃষ্টি হেফাজের পরিচালনায় ‘সরকারি সংগীত কলেজ’-এর শিল্পীবৃন্দ।
এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের আড়ং শুরু হয়। পয়লা বৈশাখ থেকে ১০ বৈশাখ পর্যন্ত বইয়ের আড়ং চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আড়ং খোলা থাকবে।
১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) যৌথ উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতি সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।