জুলিয়েট ব্যালকনি
স্থাপত্যে অমর প্রেমের প্রতীক
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের অমর সৃষ্টি 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' নাটকের হাত ধরে 'জুলিয়েট ব্যালকনি' আজ বিশ্বজুড়ে প্রেম, রোমান্স ও স্থাপত্যিক সৌন্দর্যের প্রতীক। চিরাচরিত বারান্দার মতো বাইরের দিকে প্রসারিত না হয়ে, এই স্থাপত্যশৈলীটি মূলত একটি বড় জানালা বা ফরাসি দরজার ঠিক সামনে বসানো হয়, যা দরজা খোলার সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এই ব্যালকনিটি কেবল সুরক্ষার জন্যই নয়, এর প্রধান কাজ হলো ভবনের বাইরের কাঠামোতে একটি আলঙ্কারিক সৌন্দর্য যোগ করা এবং ভেতরের ঘরে আলো-বাতাসের প্রবেশ বাড়ানো।
ব্রিটিশ কবি শেক্সপিয়রের ট্র্যাজেডির নায়িকা জুলিয়েটের নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে—কারণ এই উঁচু বারান্দা থেকেই জুলিয়েট তার প্রেমিক রোমিওর সঙ্গে দেখা করতেন। স্থাপত্যকলার বিচারে, জুলিয়েট ব্যালকনি হলো একটি খুব সরু রেলিং বা বেড়া যা সাধারণত পেটা লোহা বা কাঁচ দিয়ে তৈরি হয় এবং ভূমধ্যসাগরীয় দেশ যেমন ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে এর উদ্ভব। আমাদের এই অঞ্চলে, বিশেষ করে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে, এই শৈলীর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। রাজস্থানী স্থাপত্যের 'ঝারোখা' বা বাংলায় প্রচলিত 'ঝুল বারান্দা' হিসেবেও এর একটি সংস্করণ দেখা যায়। আধুনিক নগরজীবনে যেখানে জায়গার অভাব, সেখানে এই ব্যালকনিগুলো এক টুকরো 'খোলা আকাশ' আর রোমান্টিক আবহ এনে দিতে সবচেয়ে কার্যকর।

ফিচার ডেস্ক