চিত্রকে ট্রাপেস্ট্রি চিত্র প্রদর্শনী
গ্যালারি চিত্রকে শুরু হয়েছে চিত্রশিল্পী তাজুল ইসলাম ও শিল্পী লক্ষ্মণ সূত্রধরের ট্রাপেস্ট্রি চিত্র প্রদর্শনী।
১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৬টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন অব বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
মূর্ত ও বিমূর্ত বুননের অর্ধশতাধিক বয়নচিত্র রয়েছে এ প্রদর্শনীতে। নিপুণ হাতের বুননে মাদার তেরেসা ও লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের মুখবয় চিত্রায়ণ করেছেন শিল্পী লক্ষ্মণ সূত্রধর। বয়নচিত্রশৈলীতে এত অসাধারণ চোখ-ধাঁধানো আলোছায়া ও রঙের খেলা যে দেখানো যায়, তা শিল্পী তাজুল ইসলামের শিল্পকর্মই বলে দেয়। ফিগারেটিভ, নন-ফিগারেটিভ, নৈস্বর্গসহ প্রভৃতি বিষয় ফুটে উঠেছে তাঁর শিল্পকর্মে।
আগে আমাদের দেশে মেঝেতে ব্যবহারের জন্য শতরঞ্জি তৈরি হতো, এখনো হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। ট্রাপেস্ট্রি বা বয়নশিল্প কোনো নতুন মাধ্যম নয়। দেখা গেছে, প্রায় ৬০০ বছর আগে বিভিন্ন জায়গার শিল্পীরা এই মাধ্যমে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে এই শিল্পের প্রথম বিকাশ ঘটে শিল্পী রশিদ চৌধুরীর হাত ধরে। শিল্পী রশিদ চৌধুরীর সহকর্মী হিসেবে নিজের কাজের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পান শিল্পী তাজুল ইসলাম। শিল্পজগতে যেসব মাধ্যম রয়েছে, তাঁর মধ্যে ট্রাপেস্ট্রি বেশ ব্যয়বহুল ও শ্রমসাধ্য। বাংলাদেশে এই মাধ্যমে কাজ করে থাকেন অল্প কয়েকজন শিল্পী। বর্তমানে সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে ট্রাপেস্ট্রির জগতে শিল্পী তাজুল ইসলাম বিখ্যাত।
এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিল্পী তাজুল ইসলাম ও শিল্পী লক্ষ্মণ সূত্রধর সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
প্রদর্শনীটি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।