জীবনানন্দ পুরস্কার পেলেন জুয়েল মাজহার ও আবদুল মান্নান সরকার
জীবনানন্দ পুরস্কার-২০১৯ পেলেন কবিতায় জুয়েল মাজহার ও কথাসাহিত্যে আবদুল মান্নান সরকার। ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকত ও দূর্বার যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত এই পুরস্কার আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিনে ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ হাজার টাকা ও সম্মাননাপত্র জীবনানন্দের প্রয়াণদিবস আগামী ২২ অক্টোবর বরিশালে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্পণ করা হবে।
সম্প্রতি পুরস্কার চূড়ান্তকরণ সভা কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, ধানসিড়ির সম্পাদক মুহম্মদ মুহসিন, দূর্বার সহযোগী সম্পাদক কবি সারফুদ্দিন আহমেদ এবং ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি শামীম রেজা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি জুয়েল মাজহার ১৯৬২ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশা সাংবাদিকতা। কাব্যগ্রন্থ : দর্জি ঘরে একরাত, মেগাস্থিনিসের হাসি, দিওয়ানা জিকির। অনুবাদ : কবিতার ট্রান্সট্রোমার ও দূরের হাওয়া।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক আবদুল মান্নান সরকারের জন্ম ১৯৫২ সালে পাবনার বেড়া উপজেলায়। পেশা অধ্যাপনা। উপন্যাস : পাথার, যাত্রাকাল, কৃষ্ণপক্ষ, নয়াবসত, পিতিপুরুষ, আরশিনগর। গল্পগ্রন্থ : নিরাকের কাল, দুই দিগন্তের যাত্রী।
এই পুরস্কারের রীতি হচ্ছে—ধানসিড়ি ও দূর্বার প্রযোজনায় পাঁচজন কবি ও পাঁচজন কথাসাহিত্যিকের একটি শর্টলিস্ট দেশের বিশিষ্ট ১০ জন সাহিত্যিক বা সাহিত্য-সমঝদারের কাছে প্রেরণ করা হয়। ওই ১০ জনের নির্বাচনে বা ভোটের ভিত্তিতে একজন কথাসাহিত্যিক ও একজন কবিকে জীবনানন্দ পুরস্কার প্রদানের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। এটি একটি দ্বিবার্ষিক পুরস্কার।
২০০৭ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন মাসুদ খান ও মহীবুল আজিজ (২০১৬), কবি খালেদ হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম (২০১৪), কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন ও প্রাবন্ধিক শান্তনু কায়সার (২০১৩), কবি কামাল চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক সুশান্ত মজুমদার (২০০৮) এবং কবি আসাদ মান্নান ও কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী (২০০৭)।