পরকীয়ার জেরে নরসিংদীতে যুবকের কবজি কাটার অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশে পারিবারিক কলহের জের ও চাচির সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে হাদিউল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জালাল মিয়া ও তার ভাতিজা সাজ্জাদ মিয়ার বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে পলাশের নোয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাদিউল নরসিংদী শিবপুর থানার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্ত জালাল মিয়ার বাড়ি নোয়াকান্দা গ্রামে এবং সম্পর্কে আহত হাদিউলের ফুপা ও তার চাচির দুলাভাই। আরেক অভিযুক্ত সাজ্জাদ মিয়া অভিযুক্ত আক্কাছ মিয়ার ভাতিজা।
আহত হাদিউলের পরিবার ও পুলিশ জানায়, হাদিউলের চাচা প্রবাসী হওয়ায় কিছু দিন আগে তার চাচির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই হাদিউলের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ঝগড়া হতো। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে বাড়িতে সালিশ-দরবারও হয়েছিল। কিছু দিন আগে হাদিউল ও তার চাচির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে তিনি তার চাচিকে মারধর করেন। এতে তার চাচি বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরিবার জানায়, চাচির সঙ্গে ঝগড়ার আগে হাদিউল তার ফুপার সঙ্গে চাকরির জন্য যোগাযোগ করছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তার ফুপা তাকে চাকরির কথা বলে তার নিজ বাড়ি নোয়াকান্দায় ডেকে নেন। সেখানে তিনি রাতে থাকেন। ভোর ৪টার দিকে হাদিউলকে জানানো হয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাড়িতে ঘিরে ফেলেছে। এই কথা বলে তাকে নোয়াকান্দা থেকে দড়িচরগামী রাস্তার মাঝ-বরাবর একটি কলাবাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হাত-পা, মুখ বেঁধে তার দুই হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়। এরপর ভোরে তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ বলেন, পরকীয়ার জেরে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া জালাল মিয়া ডাকাতদলের সদস্য। শেখ জালালের নামেও থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া আহত হাদিউলকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।