নারীর ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজউক কর্মচারী
ঝিলমিল ও পূর্বাচলে প্লট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন রাজউকের কর্মচারী দেবাশীষ কুমার সাহা। ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেবাশীষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর রামপুরা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (৩১ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম দেবাশীষকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানিয়েছেন, বাবা-মা অসুস্থ থাকার সময় জমিজমা ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী রাজধানীর রাজউকে যাতায়াত করতেন। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে রাজউকের কর্মচারী দেবাশীষের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে ওই নারীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন দেবাশীষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক পর্যায়ে দেবাশীষ ভুক্তভোগী নারীকে রাজধানীর ঝিলমিল এবং পূর্বাচলে প্লট দেওয়ার আশ্বাস দেন। ওই নারী তার দুটি ফ্লাট বিক্রির দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা, ১৫০ ভরি স্বর্ণ বিক্রির এক কোটি ২০ লাখ টাকা, একটি প্লট বিক্রয় বাবদ দুই কোটি ১০ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় বাবদ ৫০ লাখ টাকা, প্রাইভেটকার বিক্রির ১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট আট কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবাশীষকে দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী নারী পরবর্তীতে তার প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে টালবাহানা শুরু করেন দেবাশীষ। টাকা ফেরত চাইলে দেবাশীষ তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরই এক পর্যায়ে দেবাশীষ ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেবাশীষের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।