কুষ্টিয়ায় দুই হত্যা মামলায় হানিফসহ আসামি শতাধিক
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুজন নিহতের ঘটনায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে নিহত আবদুল্লাহর বাবা লোকমান এবং নিহত বাবুর পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাইসুল হক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দুটি করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৪ জন ও অপর মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৭০ জনকে।
নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার লুকমান হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৩) এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বাবু (৩২)।
আবদুল্লাহ বাবার সঙ্গে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে অবস্থিত চায়ের দোকানে কাজ করত। আর বাবু স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বিকেলে তারা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এদের মধ্যে বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ ৪৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা দুটিতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ১২ এবং ১৩নং এজাহার হিসেবে মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলেও তিনি জানান।