শেখ হাসিনার পতন ভারত সহ্য করতে পারছে না : প্রিন্স
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ভারত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে, স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। এই জ্বালাটা ভারত সহ্য করতে পারছে না। সে কারণে তারা স্লুইস গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে প্লাবিত করেছে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তিন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, এ সব করে আর বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশর মানুষ আর কারও আধিপত্য মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন। আমরা গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে প্রিন্স বলেন, যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। তাদের নামে যে কোন একটি স্থাপনার নামকরণ করতে হবে। যারা আহত হয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
তারেক রহমানের নির্দেশে গোপালগঞ্জে এসেছেন উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকারে নেই। তারপরেও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা প্রত্যেক নিহতের বাড়িতে যাচ্ছি, অস্বচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা করছি এবং আহতদেরকে চিকিৎসা দিচ্ছি। তারেক রহমান নিজেই তার তদারকি করছেন।
পরে নিহত পরিবারের স্বজনদের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এর আগে তিনি গোপালগঞ্জে পৌছে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান। পরে এক পথসভায় যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান, সদস্য ডাক্তার কে এম বাবর, অ্যাডভোকেট মো. তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দ্বারা, জেলা যুবদল সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন, সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান পলাশ প্রমুখ।