বন্যাদুর্গত এলাকায় গণ-রান্নার পদক্ষেপ, অংশগ্রহণের আহ্বান
বন্যায় ভেসে গেছে ১১ জেলা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শেষ তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত তিন হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে মারা গেছে ১৮ জন। এমন এক পরিস্থিতিতে খাবার, পানি, ওষুধ, স্যালাইন বেশি প্রয়োজন পড়ছে বলে আসছে তথ্য। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নিয়ে সমস্য দেখা দিচ্ছে। তবে, মানুষ মানুষের জন্য হয়ে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, প্রতিষ্ঠান।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের বিষয়ে কাজ করে চলেছেন শিক্ষার্থীরাও। তারা গত দুদিনে বন্যার্তদের জন্য ঘোষণা করেন গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি। গতকাল শুক্রবার (২৪ আগস্ট) এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত ‘এক কোটি আট লাখ ২৩ হাজার ৯৪৭ টাকা নগদ সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ পাঁচ ঘণ্টায় সংগ্রহ ৬৭ লাখ টাকা’ বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে পোস্ট করে তিনি এই তথ্য জানান। আর আজ শনিবার জানালেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় গণ-রান্না কর্মসূচির পরিকল্পনার রয়েছে তাদের।
পোস্টে হাসনাত লিখেছন, ‘আগামীকাল থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় গণ-রান্না কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি। আপনারা শুকনা খাবারের পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ, মসলা নিয়ে আসুন।’