গোপালগঞ্জে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানহানি মামলা খারিজ করে তাকে খালাস দিয়েছেন গোপালগঞ্জের একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভূইয়া মামলাটি খারিজ করে তারেক রহমানকে খালাস প্রদানের এ আদেশ দেন। ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এছাড়াও একই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া ২০১২ সালে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা একটি মামলা থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় খালাস দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকেও। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে। ওই এলাকার একটি মারামারির ঘটনায় আক্রোশমূলকভাবে বিরোধী দল বিএনপি দমনে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে তারেক রহমান শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বিজয় দিবস উপলক্ষে বলেছেন, স্বাধীনতা ঘোষণার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের কোন প্রস্তুতি ছিল না। শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৭ মার্চ সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসারদের নিয়ে যুদ্ধ শুরু করতেন তাহলে সামান্য সংখ্যক সৈন্য তখন এই দেশে ছিল। তাদের সহজে পরাজিত করা যেত, তাহলে প্রাণহানি কম হতো এবং অর্থনৈতিক খরচ কম হতো।
মামলার বিবরণে আরও বলা হয়, মানহানিকারী ও রাষ্ট্রদ্রোহী তারেক জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস বিকৃত করেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনা অপকর্ম করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে বাংলাদেশের অভিশাপ বলেছেন এবং আওয়ামী লীগকে কুলাঙ্গার দল বলেছেন। এধরনের মানহানিকর ও রাষ্ট্রদ্রোহিমূলক কথা বলেন। এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর এ মামলাটি করে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ। মামলা নং গোপালগঞ্জ সিআর ৫৯৪/১৪। মামলাটি বর্তমানে বিচারিক পর্যায় ছিল।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারকে হয়রানি করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে পাঁচটি সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছিল তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা এই হয়রানিমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। রাজনৈতিক উদ্দেশে এ মামলাটি করা হয়েছিল। মামলাটি খারিজ ও জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের খালাসের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে, এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল।