পুকুরে ডুবে দুই সহোদরের মৃত্যু, মায়ের দাবি হত্যা

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পুকুরের পানিতে গোসলে নেমে তাসলিমা খানম (১৫) ও কাওসার শেখ (৮) নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের মা বেবি বেগমের অভিযোগ, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত তাসলিমা ও কাওসার উপজেলার নড়াগাতী থানার শিবানন্দপুর গ্রামের কৃষক আজিবার শেখের সন্তান। তাসলিমা বড়দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এবং কাওসার শিবানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে প্রতিবেশী নাহার বেগম তাসলিমা ও কাওসারকে দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেন। সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পুকুরপাড়ে তাসলিমার ওড়না পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে খোঁজ চালিয়ে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতদের মা বেবি বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সাঁতার জানে। তারা পুকুরে ডুবে মারা যেতে পারে না। আমার স্বামী ও তার ভাইয়েরা আমাকে ৮-৯ মাস আগে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানদের হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তবে নিহতদের বাবা আজিবার শেখ দাবি করেন, আমার ছেলে-মেয়ে কেউ সাঁতার জানত না। তারা গোসল করতে নেমে দুর্ঘটনাবশত ডুবে মারা গেছে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।