আদালতের রায় অমান্য করে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি

সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে জামালপুরের মাদারগঞ্জে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা ও প্রতিকার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সুমন আহাম্মেদ।
লিখিত বক্তব্যে সুমন আহাম্মেদ জানান, ১৯৬০ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা বালিজুড়ী এলাকার প্রায় ৩৮ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছেন। ১৯৮৬ সালে সরকার মো. ইস্রাফিল শেখের নামে ভূমিহীন হিসেবে ওই জমি রেজিস্ট্রি কবুলিয়ত করে দেয়। তিনি জানান, ২০০৭ সালে একটি পক্ষ ওই জমি নিজেদের দাবি করে মামলা করে। মামলাটি নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টসহ সব পর্যায়েই ইস্রাফিল শেখের উত্তরাধিকারীদের পক্ষে রায় হয়।
সুমনের অভিযোগ, আদালতের চূড়ান্ত রায় অমান্য করে একটি প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় চলতি বছরের ১৮ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ওই জমির ২৮.৫ শতাংশ অংশ প্রতিপক্ষ চারজনের নামে নামজারি করা হয়। এতে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারী হয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই জমির ২২.৭৫ শতাংশ ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলেও প্রতিপক্ষ চক্র সেটির অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর তারা জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমকে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, নায়েব সরেজমিনে তদন্তের পর প্রতিবেদন দিলে নামজারি করা হয়। তবে আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও যদি নামজারি হয়ে থাকে, তা আমার জানা নেই। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, তারা একটি জিডি পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আমি বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’