জৈন্তাপুরের লাল শাপলার বিল কচুরিপানার দখলে
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম লাল শাপলা বিল বর্তমানে প্রকৃতিগতভাবে কচুরিপানার বিস্তার নিয়ে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অচিরেই এটি কচুরিপানা বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিল রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের গঠিত লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটি কি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন পেশার স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওর (ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী) এলাকায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে চারটি প্রকৃতিগত লাল শাপলা বিল অবস্থিত। ২০১৬ সালে এই বিলগুলো সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে পরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুনঃ দেশে এসেই যে বার্তা দিলেন হামজা
তবে চলতি বছরে একটি বিলের (ইয়ামবিল) অর্ধেকের বেশি এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। দ্রুত বিস্তারমান কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এবং বিলটি ধ্বংসের মুখে পড়ছে। পর্যটকরা শীঘ্রই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল দেখতে আসতে পারে, যা জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ বিনষ্ট করবে।
স্থানীয়রা জানান, লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন একটি সুরক্ষা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির মূল কাজ হলো বিলের শাপলা রক্ষা, ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদ চিহ্নিত করা এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা। পর্যটকদের নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করে বিলের বাঁধ ও পরিচর্যা কাজে ব্যয় করা হয়। তা সত্ত্বেও ইয়ামবিলের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধেক এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার ফুল ফোটার কারণে বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলা রক্ষার দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল, ট্রলারসহ ২৪ জেলে উদ্ধার
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জমিত্র চাকমা বলেন, লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে; বিষয়টি ইতোপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তিনি আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় কচুরিপানা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)