ময়মনসিংহে যুবককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২
ময়মনসিংহের ভালুকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকা থেকে থেকে আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ১০ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জালে ধরা পড়া আসামিরা হলেন— মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। এরপর তার মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অপরাধ করলেও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে র্যাব ও পুলিশের অভিযানে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। গতকাল শুক্রবার নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।

আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ