জাপান থেকে জয়ার সুখবর
‘বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ১৪তম আসরে তৃতীয় সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘নকশীকাঁথার জমিন’ সিনেমা।
উৎসবটির এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে চারটি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও স্পেশাল জুরি মেনশন। এবার প্রথম সেরা সিনেমা হয়েছে দুটি; এগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়ার কামিলা আন্দিনি নির্মিত ‘বিফোর, নাও অ্যান্ড দেন’ ও ইরানের সৈয়দ মর্তেজা ফাতেমির ‘মাদারলেস’। দ্বিতীয় সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে শ্রীলংকার ছবি ‘স্যান্ড’। আর তৃতীয় সেরা হয়েছে যৌথভাবে বাংলাদেশের ‘নকশীকাঁথার জমিন’ ও ভারতের ‘ভিরাতাপুরা ভিরাগি’।
স্পেশাল জুরি মেনশন দেওয়া হয়েছে ভারতের বাদিগার দেবেন্দ্র নির্মিত কন্নড় ভাষার ‘ইন’ সিনেমাটিকে। এই বিভাগে ৮ দেশের মোট ১৪টি সিনেমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো।
পুরস্কার জয়ের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নির্মাতা আকরাম খান বলেছেন, “হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত আমাদের চলচ্চিত্র ‘নকশীকাঁথার জমিন’ বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে ৩য় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসাবে পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ছবির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।”
জয়া আহসান বর্তমানে জাপান ভ্রমণে রয়েছেন। সেখান থেকেই ভক্তদের জানালেন সুখবরটি। বললেন, ‘চমৎকার একটা আনন্দের সংবাদ দিচ্ছি আপনাদের! এ আনন্দ যেমন আমাদের সবার, তেমনি আমাদের দেশেরও! ১৪তম বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান কমপিটিশনে, বিখ্যাত সব সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগীতায় ছিল, জীবনঘনিষ্ঠ নির্মাতা আকরাম খানের নির্দেশনায় নির্মিত অনুদানের সিনেমা ‘নকশীকাঁথার জমিন’। প্রতিযোগিতা করে সিনেমাটি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।”
এর আগে সিনেমাটি ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’য় ‘ইউনেস্কো গান্ধী মেডেল অ্যাওয়ার্ড’র জন্য মনোনীত হয়েছিলো। সিনেমাটিতে আরও আছেন সেঁওতি, ইরেশ যাকের, সৌম্য জ্যোতি, দিব্য জ্যোতি প্রমুখ।