বয়স ৩৮ বলে বলিউডে প্রশংসিত বাঁধন
নিজের বয়স নিয়ে মানুষের কত রাখঢাক। সমাজে তো কথাই প্রচলিত আছে, মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই। আর সেখানে যদি হন নায়িকা, তাহলে তো আর কোনও শব্দই নেই!
তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নিজের বয়স কত, সে কথা এই অভিনেত্রী বলেন বেশ উচ্চস্বরে। এই যেমন সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় জানালেন, তাঁর বয়স ৩৮ বছর।
শুধু কি বয়সের সংখ্যাটাই বললেন, শোনালেন বয়স নিয়ে গল্পও। সেই গল্প বলিউডের। বাঁধনের ভাষ্যে সেটা এমন, ‘আমাকে অনেক পরিচালক বলেছেন, তুমি তো বুড়ো হয়ে গেছ... অনেক কিছু। আমি যখন বিশাল ভরদ্বাজের কাজে গিয়েছি, সেখানে আমার চরিত্রটা (খুফিয়া) ২৬-২৭ বছরের। অডিশনে সেটা লেখা ছিল। অডিশনের আগে আমি গিয়ে বললাম, আমার বয়স তো ৩৮ বছর। আমাকে তারা বলল, না, তোমাকে তো ৩৮ বছরের মনে হচ্ছে না এবং সেটাতে আমাদের কিছু আসে যায় না...। তাঁরা বলেছে, আমরা তোমার এটাই বেশি পছন্দ করলাম, তুমি অনেস্টলি এটা বললে।’
নেটফ্লিক্সের প্রযোজনায় অ্যাকশন-ড্রামা ‘খুফিয়া’ সিনেমা নির্মিত হচ্ছে অমর ভূষণের ‘এসকেপ টু নোহোয়ার’ বইয়ের গল্প অবলম্বনে। যেখানে একটি গুরুত্বপুর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র), ভারতের বাইরের গোয়েন্দা সংস্থা এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও একজন যুগ্ম সচিব কীভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়, সেই গল্প।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে সাত দিনের শুট শেষে ঢাকা ফিরেছেন বাঁধন। সিনেমাটি প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি খুবই ছোট একটা চরিত্র করছি। সিনেমাটির জন্য আমার ডেট নেওয়া আছে ১০ দিন। ৭ দিনের শুট হয়ে গেছে। বাকি ৩ দিন বোম্বেতে (মুম্বাই) শুট করব, ফেব্রুয়ারিতে। ভারতের বাইরে কিছু শুট হবে, তার পর মুক্তি।’
সাত দিনের শুট অভিজ্ঞতা বাঁধন জানিয়েছেন এভাবে, ‘এক কথায়, এক্সেলেন্ট। আমি মুগ্ধ। এত এক্সপেক্টেশন নিয়ে যাইনি আসলে। কারণ, একে তো আমি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একজন শিল্পী। তার পর এত বড় একজন ডিরেক্টর (বিশাল ভরদ্বাজ)। সবচাইতে বড় কথা, টাবুর মতো এত বড় একজন সহ-অভিনেত্রী। উনি আমাকে কীভাবে ট্রিট করবেন...। কিন্তু আমি যেদিন গেলাম, ডিরেক্টর আমাকে নিজে রিসিভ করতে আসেন। উনি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন নিজে সাথে করে নিয়ে। ডিরেক্টর যখন একজন শিল্পীকে সম্মান দেবে, তখন কাজ করাটা খুব সহজ হয়। বিশাল ভরদ্বাজ আমার মনটা নিয়ে নিয়েছে।’
দীর্ঘ আড্ডায় সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে বাংলাদেশের আরও দুজন অভিনেত্রী যে অভিযোগ তুলেছেন, সে প্রসঙ্গে আজমেরী হক বাঁধনের ভাষ্য, ‘কে কী বলেছে, কার কী অভিযোগ, এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। অবশ্যই ডিরেক্টর, স্ক্রিপ্ট ও চরিত্র পছন্দ হয়েছে বলেই কাজ করেছি। বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে কাজ করার একটা ভালো সুযোগ ছিল। সেটাই কাজে লাগাতে চেয়েছি। আর কিছু না।’