সালমান বেঁচে থাকলে শাকিবের মতো সুনাম পেতেন?
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। বেশ সুনামের সঙ্গেই তিনি কাজ করছেন। সালমান শাহ বেঁচে থাকলে শাকিব খানের মতো সুনাম পেতেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘সালমানের সময় অনেকেই ছিল। তবে শাকিব খানের আশপাশে কেউ নেই। সালমানের মতো অনেকেই এসেছে। নায়ক ফারুক আরেকটা আসেনি। সালমানের পর নায়ক মান্নাও তুমুল জনপ্রিয়। সালমানের পর আর কোনো জনপ্রিয় নায়ক আসেনি, কথাটা আমি বিশ্বাস করি না।’
সালমান শাহ অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কন্যাদান’। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। নায়িকা শাবানার আগ্রহে তিনি এই ছবিতে সালমান শাহকে নির্বাচন করেছিলেন বলেও এনটিভি অনলাইনকে জানান এই নির্মাতা।
সে সময় তুমুল জনপ্রিয় ছিল সালমান-শাবনূর জুটি। তবে ‘কন্যাদান’ চলচ্চিত্রে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন নায়িকা লিমা। শাবনূরের চেয়ে কোনো অংশে কম নন লিমা, এ দাবি করে ঝন্টু বলেন, “আমি শাবনূরের চেয়ে ভালোই মনে করেছি লিমাকে। কারণ, এর আগে ‘প্রেমগীত’ ছবিতে সারা দেশে আলোড়ন তুলেছিল লিমা ও ওমর সানি।”
সবাই জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে কাজ করলে নতুন শিল্পীর জন্ম হবে না বলেও দাবি করেন এই নির্মাতা। সব নির্মাতা তাঁদের নিয়ে কাজ করতে চাইলে তারকা শিল্পীরা মাথায় চড়ে যায় বলেও দাবি ঝন্টুর।
অল্প সময়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্র জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সালমানের মৃত্যুই তাঁকে আলোচনায় এনেছে। তাঁর আগে-পরে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেলায়ও দর্শকের প্রত্যাশা বেড়েছে বলে মনে করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
দেখুন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সাক্ষাৎকার :
১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কন্যাদান’ চলচ্চিত্রটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এসএস প্রোডাকশনস লিমিটেডের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেন শাবানা। ছবিতে অভিনয় করেন শাবানা, আলমগীর, সালমান শাহ, লিমা, হুমায়ুন ফরীদি প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ সারা দেশে মুক্তি পায়।
সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জে জন্ম নেন। তাঁর পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন হলেও সিনেমার পর্দায় তিনি ছিলেন শুধুই সালমান শাহ। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর বড় ছেলে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন সালমান শাহ হয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে।
ঢাকাই সিনেমার নায়ক হওয়ার আগে সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টেলিভিশন নাটক দিয়ে। তবে ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি সালমান শাহকে। চার বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশসমান জনপ্রিয়তা। উপহার দিয়ে গেছেন বাংলা সিনেমার এক সোনালি অধ্যায়।