ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জামায়াত ছিল না এই কথা কে বলেছে? প্রশ্ন ফারুকীর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে এসেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আর এই আন্দোলনে সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন এই নির্মাতা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ও অসহযোগ আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এরই মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।
এদিকে সরকার পতনের পর সম্প্রতি জামাত শিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রকাশ্যে এসেছে। আন্দোলনে দলটির নেতাকর্মীদের কেমন ভূমিকা ছিল সেসবও স্পষ্ট হচ্ছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
গতকাল বুধবার রাতা ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা প্রশ্ন তুলেছেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে জামায়াত ছিল না এই কথাটা কে বলেছে?
ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে এসে কেউ যদি নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার করে এবং সেই আবিষ্কারের আনন্দে ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার করতে থাকে, তাহলে কি বলা যাবে?’
এরপর নির্মাতা লেখেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে জামায়াত ছিল না এই কথাটা কে বলেছে কবে? বাংলাদেশের সবাই জানে এই আন্দোলনের প্রথম থেকে বিএনপি, জামায়াত, বাম দলসহ- দল মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ছিল। সবাই একটা জিনিসই চেয়েছে, শেখ হাসিনার পতন। আরেকটু পরিষ্কার করে বলি, শুধু এবারই প্রথম চেয়েছে তা না। যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর আন্দোলন হয়েছে তখনও প্রত্যেকে ওয়াটার টেস্ট করে দেখেছে, এটা কি সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে নেওয়া সম্ভব কিনা। জিও পলিটিক্যাল বাস্তবতা এবং সেনাবাহিনীর বাস্তবতায় সেটা সম্ভব ছিল না বুঝতে পেরে আবার প্রত্যেকে দমেও গেছে।’
ফারুকীর ভাষায়, ‘নুরুল হক নুরুদের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনে একই জিনিস টেস্ট করে দেখেছে বাংলাদেশ। যখন দেখল এটা সরকার পতনের আন্দোলন হিসাবে সফল হবে না, তখন সবাই আবার চেপেও গেছে। এবারও পুরো জাতি ওয়াটার টেস্ট করেছে এবং ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বুঝতে পেরেছে, এই আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব। ফলে মানুষ সরকার পতন ঘটিয়েছে!’
সবশেষ আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে এই নির্মাতা লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের উচিত হবে ভাবা, কেন সবাই তাদের পতন চেয়েছে। ক্লিয়ার?’