অ্যালার্জিতে ভুগছেন? জেনে নিন নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
পায়ের তালু থেকে মাথার তালু পর্যন্ত শরীরকে আবৃত করে রেখেছে ত্বক। অনেকেই কমবেশি ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। এ রোগের প্রকার ও ধরন অনেক বেশি, যেটি অন্য কোনো রোগের নেই।
এ বিষয়ে কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রযোজিত এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৯৬৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আহাম্মদ আলী। তিনি বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন ডা. মুনা তাহসিন।
অ্যালার্জি হওয়ার কারণ
ডা. আহাম্মাদ আলী বলেন, অ্যালার্জি হওয়ার কারণ নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা নয়। আমরা প্রকৃতির মধ্যেই ডুবে আছি। পৃথিবীর আলো-বাতাস-পরিবেশ, সবকিছু থেকেই অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, যেটা ধুলাবালি থেকে হয়। গাছপালার রেণু, ধুলাবালি বিভিন্ন জিনিস বাতাসে ভেসে থাকে, এগুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এমন কোনো জিনিস নেই বলা যেতে পারে যেটা থেকে অ্যালার্জি হবে না।
করোনাকালে ত্বকের ওপর প্রভাব
ডা. আহাম্মাদ আলী বলেন, করোনার বেলায় শেষ কথা বলে কিছু নেই। এখন এ মুহূর্তে যেটা বলছি, হয়তো আজ রাতেই সেটি উল্টে যেতে পারে। এখনো সব চিকিৎসক জানছে-শিখছে। কারণ, এটি নতুন একটি রোগ। করোনা ত্বকের যে খুব বেশি পরিবর্তন করে, তা নয়। তবে শরীরে চাকা চাকা বা লাল লাল ভাব পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রোগীর মধ্যে দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু রোগীর বেলায় পাওয়া গেছে, পায়ের গোড়ালিতে বা সামনের পাতায়, আঙুলের ওপরে ব্যথাযুক্ত, লাল হয়ে গেছে, ফুলে গেছে। এ রকম কিছু পরিবর্তন অনেক রোগীর মধ্যে দেখা গেছে। আবার বাচ্চাদের বেলায় ত্বকে হামের মতো লালচে ভাব পাওয়া গেছে।
কীভাবে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
ডা. আহাম্মাদ আলী বলেন, যার ওষুধ ছাড়া নিয়ন্ত্রণে আসবে না, তাকে ওষুধ খেতে হবে। আর যদি নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়, রোগী সন্দেহ করতে পারে; যেমন আপনি কোনো জিনিস খেলেন আর আপনার শরীর ফুলে গেল, চুলকাচ্ছে বা সমস্যা হচ্ছে; আপনি সেটি এক সপ্তাহের জন্য খাওয়া বন্ধ করতে পারেন। এক সপ্তাহ পর আবার খেলে যদি একই সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই খাবারটিই সমস্যা করে। তাহলে সেটি এড়িয়ে যেতে হবে। এড়িয়ে যাওয়ায়ই রোগীর প্রথম ও প্রধান কাজ। দ্বিতীয় হলো, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিছানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিছানার যে তোষক, অনেক সময় সেখানে ছোট ছোট কীটপতঙ্গ থাকে। তাই বিছানার তোষক কড়া রোদে এপিঠ-এপিঠ করে শুকাতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে আমাদের সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।