আপনি কি কপাল কুঁচকে কথা বলেন?
বয়সের ছাপ বোঝার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে, ত্বকে দাগ পড়া। ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তরুণ বয়সে কথা বলার সময়, হাসির সময় বা যেকোনো অনুভূতি প্রকাশের সময় চোখের পাশে বা ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবে না। তবে এজিং প্রসেস শুরু হওয়ার পর থেকে বলিরেখা দেখা দেবে।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন ডা. দিলরুবা সুলতানা। বয়সের ছাপের লক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি যখন ওপরের দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন, তখন কপালে ভাঁজ আসছে। হাসলে আপনার লাফিং লাইনটা প্রমিনেন্ট হয়ে যায়। এগুলো এজিংয়ের সাইন।
ত্বকে কী ঘটে যে ওই লক্ষণ দেখা দেয়? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, সাবকিউটেনাস ফ্যাটটা যখন সরে যেতে থাকে, আপনার বিভিন্ন জায়গায় স্কিনটা লুজ হয়ে যায় বা ঝুলে যায় যখন, লখন লাইনটা চলে আসবে। তা ছাড়া মাসলগুলো যদি ওভার-অ্যাক্টিভ হয়ে যায়, যেমন—যাঁরা অনেক বেশি এক্সপ্রেশন দিয়ে কথা বলেন কপাল কুঁচকে কুঁচকে, উনাদের দেখা যায় একটা সময়... রিঙ্কেলস তো কয়েক রকমের হয়, স্ট্যাটিক হয়, ডায়ানেমিক হয়। ডায়ানেমিক রিঙ্কেল আমরা যেটাকে বলি, সেটা হচ্ছে, আপনি যখন এক্সপ্রেশন দেবেন, তখন আপনার স্কিন কুঁচকাবে। আর স্ট্যাটিক যেটা, আপনি যখন কনটিউনিয়াসলি এটা প্র্যাকটিস করতে থাকবেন, আমি কপাল কুঁচকে কথা বলব বা খুব বেশি এক্সপ্রেশন দিয়ে কথা বলব, তো একটা সময় ওই লাইনগুলো স্ট্যাটিক হয়ে যায়। মানে, আপনি যখন এক্সপ্রেশন দেবেন না, তখনো রিঙ্কেলস দেখা যাবে।
এ ক্ষেত্রে কি বিশেষ অভ্যাসের ভূমিকা আছে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, অবশ্যই। এজিং প্রসেসের জন্য যেটা হবে, সেটা তো হবেই। সেটা আপনি থামাতে পারবেন না। কিন্তু আমরা যে পরামর্শ দিই, অনেক ছোট বয়স—টোয়েন্টি প্লাস যারা, ওদেরও কখনো কখনো দেখি খুব বেশি রিঙ্কেলস চলে এসেছে। তখন আমরা প্রশ্ন করি, তুমি কি খুব এক্সপ্রেশন দিয়ে কথা বলো? তুমি কি খুব কপাল কুঁচকে কথা বলো? তখন কিন্তু অ্যানসারটা পজিটিভই আসে। আমরা বলি যে তুমি খুব বেশি এক্সপ্রেশন দিয়ো না। অ্যান্টি-এজিং সার্ভিসগুলো স্টার্ট করার জন্য আমি মনে করি, টোয়েন্টি প্লাস বা টোয়েন্টির নিচে যারা আছে, এ এজটা খুবই কম। তাদের জন্য নয়। তাদের জন্য যে ট্রিটমেন্টটা করি, পিআরপি করতে পারে, মাইক্রোনিডলিং করতে পারে... অ্যান্টি-এজিং বলতে আমরা ধরেই নিই বোটক্স, ফিলার...
অ্যান্টি-এজিংয়ের কী কী প্রসিডিউর আছে? ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য এই সাব-কন্টিনেন্টে খুব পপুলার, সেটা হচ্ছে ফেস লিফটিং করা হচ্ছে খুব, সবাই বি-শেপ ফেস চাচ্ছে, যেটা কোরিয়ান লিফটিং বলে। সে ক্ষেত্রে আমরা বোটক্স, ফিলার এবং থ্রেডের কম্বিনেশন করি।