করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যা খাবেন
মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভারতের বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক পথ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘চরক ফার্মা’র কয়েকজন বিশেষজ্ঞ গবেষক ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রোগ প্রতিরোধকারী বেশ কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। যেগুলো আসলে বাংলাদেশের মানুষও হাতের নাগালেই পেয়ে থাকে। সেগুলো হচ্ছে-
মুগ ডাল : খুব সহজেই হজম হয় মুগ ডাল। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টিতে ভরপুর এই দানা শস্যটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী।
সবুজ শাক : পালংশাক, কারিপাতা, লাউশাক, কলমিশাক খেতে পারেন। আমাদের ক্যালসিয়াম ও আয়রনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের জোগান দেয় সবুজ শাক। এগুলো মশলায় হালকা ঝলসে নিলে দারুণ উপাদেয় হতে পারে বলে জানাচ্ছেন ভেষজ বিশেষজ্ঞ গবেষক ও চিকিৎসকরা।
হলুদ : হাজার বছর ধরে হলুদ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দায়িত্ব পালন করে আসছে। হলুদ তরকারির শুধু রং বদলাতেই ব্যবহার করা হয় না। এর ব্যাপক ভেষজগুণ রয়েছে। বাড়তি সতর্কতা আকারে অনেকে নিয়মিত এক টুকরো কাচা হলুদ খেয়ে থাকেন।
ডাল : প্রোটিনের দারুন উৎস হচ্ছে ডাল। এটা এমন একটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা সবার জন্যই উপকারী। এ ছাড়া এতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় নিয়মিত ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মসুর, মুগ, মাসকলাই, ছোলা ও খেসারির ডাল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
গোল মরিচ ও জিরা : গোল মরিচ ক্রনিক সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে। ছোট্ট এই কালো দানার অসীম গুণ। আর জিরা হজমে সাহায্য করে, অতিরিক্ত ওজন কমায় ও লিভার ভালো রাখে।
মৌসুমী ফল : কমলালেবু, পেঁপে, আঙুর, আনার, তরমুজ, জলপাই, আনারস ইত্যাদি ফল আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ বা যেকোনো রোগ দানা বাধার আগেই যেন আমাদের শরীর প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে এজন্য এসব ফল খেতে হবে। এর মধ্যে পেপে হজমে দারুণ কার্যকর। আর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ।
ভিটামিন সি : আমলকি, লেবু, কমলা, কাচা মরিচ, করলা এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বাড়ায়।